স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনা [Swachh Bharat Abhiyan]

Swachh Bharat Abhiyan

স্বচ্ছ অর্থাৎ যা পরিষ্কার অপরদিকে ভারত আমাদের দেশস্বচ্ছ ভারত অভিযানের [Swachh Bharat Abhiyan রচনা] প্রথান লক্ষ্যই হলো পরিষ্কার রাখতে হবে আমাদের আসে পাশের পরিবেশকে, মানুষকে, সমাজকে সর্বোপরি পরিষ্কার রাখতে হবে আমাদের এই বিশাল ভারতবর্ষকে। তাই শুরু হয়েছে:-

– সরকার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় নির্মাণ।

– জল নিকাশি নালা নির্মাণ।

– ১০০ দিনের কাজের মধ্য দিয়ে জঙ্গল, নর্দমা পরিষ্কারের কাজ।

– নোংরা জায়গায়, নোংরা জলে ব্লিচিং পাওয়ার দেওয়া।

– গাছের আর এক নাম জীবন, তাই নতুন বৃক্ষ রোপণ।

– বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে স্বচ্ছ ভারত সম্পর্কে সচেত করা।

স্বচ্ছ ভারত অভিযান রচনা [Swachh Bharat Abhiyan]

আরো পড়ুনবাংলার উৎসব রচনা (Banglar Utsav Rachana Essay)

ভূমিকাঃ-

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী একবার বলেছিলেন স্বাধীনতার চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা পূর্ব সময় তাঁর বক্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এই পরাধীন ভারতবর্ষে সৃষ্টি হয়েছে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি। তাই তিনি প্রাত্যহিক জীবনে ভারতীয় জনগণের মধ্যে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতার উপরে জোর দিয়েছিলেন।

আজ স্বাধীনতার বহু বছর পর গান্ধীজীর সেই স্বপ্নের ভারতকে নির্মাণ করার লক্ষ্যে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকার এগিয়ে এসেছে। এবং স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে, ভারতবর্ষের সার্বিক পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্মত জীবন যাপনের কাজকে আরো প্রচলিত করতে সারা ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান।

স্বচ্ছভারত অভিযানের সূত্রপাতঃ-

ভারত সরকারের উদ্যোগে সারা ভারত জুড়ে স্বচ্ছ ভারতের লক্ষে 2019 এ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচি সূচনা করেন।

জাতির জনকের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতবর্ষকে একটি স্বচ্ছ ও নির্মল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীকে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

এর প্রচারের জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি নিজে রাজপথে নেমেছিলেন।

অভিযানে শামিল দেশবাসীঃ-

স্বচ্ছ ভারত অভিযানে দেশের প্রায় 30 লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের প্রচারের জন্য দেশের ৯ জন বিখ্যাত মানুষকে নির্বাচন করেছেন, যারা নিজে ও এলাকায় নিজেদের সুবিধা মত দিনে জনগণের সঙ্গে এই কাজ করতে উদ্যত হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেছেন ওই ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি যেন আরো ৯ জন ব্যক্তিকে স্বচ্ছ ভরত অভিযানে মনোনীত করেন।

এর এই ভাবে তারাও এই প্রচারের কর্মসূচিতে শামিল হবেন। এবং নিজে নিজে এলাকার মানুষদের নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পথে এগিয়ে যাবেন। এই ভাবে ৯ জনের শৃঙ্খলটি একসময় শাখা প্রশাখা যুক্ত বৃক্ষের মতো হয়ে দাঁড়াবে বিসাল। তখন সমগ্র দেশের এই অভিযানের কাজ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়বে।

এছাড়া সরকারের নির্দেশ অনুসারে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ব্যবহারের উপর ও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই ভাবেই দেশের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্ভব স্বচ্ছতার এই অভিযান।

উপসংহারঃ-

দেশকে ভালোবাসার অর্থ দেশের মানুষকে ভালোবাসা, দেশের শ্রীবৃদ্ধির অর্থ দেশবাসীর সমৃদ্ধি। দেশবাসীর সামগ্রী উন্নয়নে দেশের বৃদ্ধি ঘটবে দেশবাসীর সামগ্রিক উন্নয়নে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যবিধি উন্নতি হবে।

উন্নত জীবনযাপনের পাশাপাশি ভারতবর্ষের সমস্ত প্রান্তে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বার্তা পৌঁছে দেওয়া জরুরী। গান্ধীজীর স্বপ্নের ভারতবর্ষকে বিশ্ব সভায় শ্রেষ্ঠত্বের বসাতে এই প্রকল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।

Leave a Comment