তোমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রচনা [Tomar Priyo Porjatan Kendra Essay]

আপনি কি অনলাইনে ‘তোমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র’ [Tomar Priyo Porjatan Kendra Essay] রচনাটি খুঁজছেন যদি তাই হয় তাহলে আপনি সঠিক পোস্টে এসে উপস্থিত হয়েছেন। আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে সহজ সরল ভাষায় শেয়ার করছি ‘তোমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র’ অনুচ্ছেদ রচনাটি।

তোমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রচনা [Tomar Priyo Porjatan Kendra Essay]

আমার এই পোস্টটি ‘তোমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র’ রচনার জন্য অসাধারণ একটি নোট। আপনি পরীক্ষায় যদি এই রচনাটি লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফুল মার্কস পাবেন -ই তাই অনুগ্রহ করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে রচনাটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

ভূমিকাঃ-

পর্যটন হলো সমগ্র বাঙালির অবিচ্ছেদ্য জীবনের এক অঙ্গস্বরূপ। আর যদি একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র সেই পর্যটনে যোগ দেয় তাহলে তো আর কোন কথাই হবে না। প্রতিটি মানুষের কাছে একটি নির্দিষ্ট পর্যটন কেন্দ্র থাকে যেখানে বারবার যাওয়ার জন্য তার হৃদয় নেচে ওঠে আজ ঠিক সেরকমই একটি প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে আমি জানাবো।

আমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্রঃ-

আমার প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র উত্তরবঙ্গ। এখানকার শান্ত, নিরিবিলি, প্রাকৃতিক পরিবেশ যেখানে একই সাথে পাওয়া যায় পাহাড়ের গাম্ভীর্য, নদীকুলের স্নিগ্ধতা ও অরণ্যের চোখ ধাঁধানো রোমান্টিক মূহুর্ত তবে সৌভাগ্যের বিষয় এই যে ভারতবর্ষের যে রাজ্যে আমি বাস করি তার ঠিক উত্তরে আমার এই প্রিয় পর্যটন কেন্দ্রটি রয়েছে তাই যখনই মন চায় বারবার ছুটে আসি এখানে।

উত্তরবঙ্গ সেরা পছন্দের জায়গা হওয়ার কারণঃ-

উত্তরবঙ্গ আমার সেরা পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।উত্তরবঙ্গের অপরূপ শোভা এর একটি অন্যতম কারণ। উত্তরবঙ্গ যেহেতু আমার জন্মভূমি বাংলার ই একটি অবিচ্ছেদ অংশ তাই এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রতি আমার নাড়ীর টান রয়েছে।

এছাড়াও উত্তরবঙ্গ যেকোন মানুষের প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার পিছনে অবদান রয়েছে এই উত্তরবঙ্গের মানুষের। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো উত্তরবঙ্গে প্রকৃতির প্রায় প্রতিটি রূপকেই লক্ষ্য করা যায়।যেমন সেখানকার পাহাড়, পর্বত,নদী,জঙ্গল এককথায় সব কিছু মিলেমিশে উত্তরবঙ্গ হয়ে উঠেছে স্বর্গতুল্য যেখানে গেলে আর মন ফিরতে চায় না।যেন মনে হয় প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

উত্তরবঙ্গের আমার পছন্দের স্থানগুলিঃ-

উত্তরবঙ্গ ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের এমন এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যের অধিকারী যা বর্ণনা করা অত্যন্ত কঠিন। তবুও আমার সেরা পছন্দের জায়গা গুলি হল এইরকম ১.টোটোপাড়া ২.চারখোলা ৩.পেডং ৪.রিসাং ৫. মালবাজার ৬.ফাগু ৭. মংপং ৮.ডামডিম ৯.ফাফার খেতি ১০.কাঠামবাড়ি জঙ্গল প্রভৃতি।

পাহাড়ি প্রকৃতির হাতছানিঃ-

উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি প্রকৃতির রূপ দার্জিলিং কিংবা কালিংম্পং এর তুলনায় অনেকখানি ভিন্ন প্রকৃতির। এখানে পাহাড়গুলি সুবিশাল নয়। তারা এই অঞ্চলে অত্যন্ত কাছের ঘরের লোক। প্রতিপদে যাওয়া আসায় চোখের সামনে দেখা যায় ছোট ছোট টিলা কিংবা পাহাড় আর দেখা যায় পাহাড়ের গা বেঁধে রয়েছে জঙ্গল।

যেখানে রয়েছে অসংখ্য নাম না জানা বৃক্ষ রাশি এবং ফুলসমূহ।চলার পথে কখনো কখনো কখনো লক্ষ্য করা যায় পাথরে জমি বা অগভীর নদী।যা বয়ে চলেছে আপন গতিতে।অধিকাংশ নদী পায়ে হেঁটেই পার হওয়া যায়। এখানকার জঙ্গলে রয়েছে অসংখ্য জীবজন্তু যা আমার মত ভ্রমণ প্রিয় পর্যটকদের বারবার টেনে নিয়ে আসে এই প্রকৃতির কোলে।

পাহাড়ি জীবনযাত্রা ও আমিঃ-

একজন পর্যটক হিসেবে পাহাড়ি জীবনযাত্রা আমার ভীষণ প্রিয়। পাহাড়ের সৌন্দর্য, পাহাড়ি জীবনের সহজ-সরল জীবনযাত্রা যা আমার মন ছুঁয়ে যায়। উত্তরবঙ্গের যে অঞ্চলের কথা আমি বলছি সেই অঞ্চলকে প্রকৃতি তার রূপ- রস- গন্ধ ও ছন্দ দিয়ে এমনভাবে সাজিয়ে দিয়েছে যা সত্যিই অবর্ণনীয়।

আমি প্রতিবার ই উত্তরবঙ্গে এসে এখানে বসবাসকারী মানুষগুলোর সাথে নিজেকে এমন ভাবে মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি বা মিলিয়ে ফেলি যা আর এ পরিবেশ ছেড়ে মন যেতে চায় না এখানকার স্থানীয় সংস্কৃতি ভাষা, আচার-ব্যবহার সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এক সরলতা ও প্রশান্তি।

পছন্দের পাহাড়ি খাবার সমূহঃ-

পাহাড়ি এই অঞ্চল গুলিতে যেসব ভুটিয়া খাবার দাবার পাওয়া যায় সেগুলি আমার ভীষণ প্রিয়। তাছাড়া মোমো,থাইপো, থুকপা ইত্যাদি খাবার রয়েছে। তাছাড়া আসাম ও কোচবিহার সীমান্তে পৌঁছালে অসমীয়া খাবার দাবারেরও স্বাদ মেলে। তবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের রান্নাবান্নার স্বাদ পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বহু পার্থক্য রয়েছে।

উপসংহারঃ-

ভারাক্রান্ত মনে এবার বাড়ি ফেরার পালা।কয়েকটা দিন কত স্মৃতি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম হয়তো আবার সুযোগ পেলেই ফিরে আসবো এই প্রকৃতির বুকে যতবারই আসি না কেন বারবার মন ছুটে যায় উত্তরবঙ্গের দিকে। পূর্ণ অপেক্ষায় থাকবো এইরকম মূহুর্ত কাটানোর জন্যে।।

Leave a Comment