ছাত্রদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রচনা [ছাত্র সমাজের দায়িত্ব কর্তব্য]

পড়াশোনার কিছুই অপ্রয়োজনীয় নয়। যার আর এক নিদর্শন হলো প্রন্ধ রচনা। আজকের এই ছাত্র সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনাতে [Somaj Sebai Chatro Chatrider Bhumika Essay] আমরা জানতে পারবো। একজন ছাত্র হিসাবে একজন ভারতীয় হিসাবে আর একজন ভারতীয় মানুষ হিসাবে ছাত্র সমাজ সহ সকল মানুষের কিছু দায়িত্বও কর্তব্য আছে। যা পালন করলে সমাজ এগিয়ে যায় নতুন থেকে আরো আধুনিকতার পথে।

এই রচনাটি আরো যে যে নামে পরিচিত ত হলো, সমাজ সেবায় ছাত্র ছাত্রীদের ভূমিকা। ছাত্রদের সামাজিক দায়বদ্ধতা, ছাত্র সমাজ বনাম দায়িত্ব ও কর্তব্য। পরিবেশ উন্নয়নে ছাত্র ছাত্রীদের ভূমিকা ছাত্রদের সামাজিক দায়িত্ব। এই সব।

ছাত্রদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রচনা

ভূমিকাঃ-

সমাজ একটা সঙ্গবদ্ধ ব্যবস্থা মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্র সমাজের মধ্য দিয়ে মানুষ তার পাশে প্রবৃত্তিকে অতিক্রম করে মনুষ্যত্ব অর্জন করে কাজেই যে সমাজ মানুষকে মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে তাকে অবশ্যই সুন্দর করে করে তোলা দরকার।

এর কাছে প্রতিটি সামাজিক মানুষের কিছু না কিছু কর্তব্য থাকে ছাত্রছাত্রীরা তার ব্যতিক্রম নয় অধ্যায়ন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান লক্ষ্য। এ কথা মেনে নিও বলা যায়। অধ্যয়নের পাশাপাশি সমাজের প্রতিও তাদের অনেক কর্তব্য আছে।

সমাজের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কঃ-

ছাত্রগণ ভিন্ন গ্রহ-বাসী নয় তারা এই সমাজের সবথেকে প্রাণবান, তেজি বলিষ্ঠতম অংশীদার। তারাই ভবিষ্যৎ সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিক তথা সমাজের মেরুদন্ড।

তাই সমাজ যেমন জীবনের প্রস্তুতি পর্বে ছাত্রদের সর্ববিধ সুযোগ-সুবিধা দানের চেষ্টা করবে তেমনি ছাত্ররাও ফকিরত পাঠ ছাড়াও সমাজসেবার আদর্শ উদ্বুদ্ধ হয়ে, সেখানে অন্যায় অবিচার সামাজিক নিষ্কাশন চলছে তা দূরীভূত করার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ-

(ক) সেবাপরায়ণতাঃ-

জনগণের কল্যাণী নিজেকে নিয়োজিত করার মধ্যেই নিহিত আছে শিক্ষার সার্থকতা অল্প বয়সে ছাত্রদের গতিশীল স্বার্থ চিন্তা ও বৈষয়িক চিন্তন হীন স্বার্থপরতা ও সেবা ধর্মে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

এইভাবে ছাত্র মনে সেবা ধর্মী পবিত্র আদর্শ চিরস্থায়ী আসল রূপে তাদের এক সংবেদনশীল। নাগরিকী পরিণত করবে

(খ) নিরক্ষরতা দূরীকরণঃ-

আমাদের দেশের সার্বিক শিক্ষার অবস্থা খুবই খারাপ ভারতবর্ষে নিরক্ষতা একটি সামাজিক অভিশাপ, এই অভিশাপ থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করার জন্য ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।

ছাত্ররা নিজেদের শিক্ষিত করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে নিরক্ষর ব্যক্তিদের স্বাক্ষর করে তোলার পদ্ধতি হতে পারে।

(গ) স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষাঃ-

আমাদের দেশের সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যায় গ্রাম ও নানা জায়গায় নানা রোগের জীবাণু ছড়িয়ে আছে। অপরিচ্ছন্নতা দূরীকরণে ছাত্ররা নিজেরাই হাত লাগায় গ্রামেও শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলে।

সমাজের বেশ কিছু লোকই সর্বনাশা। মদের নেশায় আচ্ছন্ন তাদের এই পতনের হাত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে।

(ঘ) প্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইঃ-

কুসংস্কার আচ্ছন্ন আমাদের সমাজ, এর কারণ অজ্ঞতা এবং প্রথার প্রতি নির্বিচার অনুগত্য। মানুষের অজ্ঞতা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আজও নানান টুকটাক তাবিজ মাদুলি নিয়ে মতলবি সাধুদের রমরমা চলছে। ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে সমাজকে কুসংস্কার গলি থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে।

পণপ্রথার মত একটি সামাজিক পাপে বিনষ্ট ছাত্রসমাজকে মুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে তাহলেই ধীরে ধীরে সমাজ সমাজের কু প্রথা ও কুসংস্কার বিলুপ্তি সম্ভব হবে।

(ঙ) প্রতিবাদ ও জাতীয় সংহতি রক্ষাঃ-

সমাজে প্রতিনিয়ত অন্যায় অবিচার ঘটে চলেছে এসব ক্ষেত্রে ছাত্রদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে আমাদের দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ প্রবল হয়ে উঠেছে।

এই সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীকে আন্তরিকভাবে পদ্ধতি হতে হবে একমাত্র পারে দেশের জাতীয় সংহতি রক্ষা করতে

উপসংহারঃ-

ছাত্র সমাজ একটি বৃহৎ শক্তি এই শক্তি যদি সমাজ কল্যাণে নিয়োজিত হয় তাহলে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত। ছাত্রছাত্রীরা সচেষ্ট হলে একদিন না একদিন সেই আদর্শ সমাজ গড়ে উঠবেই। দেশবাসীর কল্যাণ আসছে তাদের জীবন হবে স্বার্থk।

ছাত্রদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রচনা [ছাত্র সমাজের দায়িত্ব কর্তব্য]
ছাত্র সমাজের দায়িত্ব কর্তব্য

ভূমিকাঃ-

ঊষার দুয়ারে আঘাত হেনে একমাত্র ছাত্ররাই পারে সমাজ জীবনে নতুন প্রভাতের আগমনকে সত্য করে তুলতে। অফুরন্ত অফুরন্ত প্রাণ শক্তির অধিকারী ছাত্ররা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারে।

হৃদয়ের মৃত্যুঞ্জয় সাহস সমাজকল্যাণে তাদের অনুপ্রেরণাদায় অফুরান জীবনের শক্তি নিয়ে দেশের পিছিয়ে পড়া দিন দুঃখীদের সেবায় তারা নিজেদের নিয়োজিত করে আর এই ভাবেই সমাজসেবার মধ্য দিয়ে ছাত্ররা জীবনের সঠিক লক্ষ্য খুঁজে পায়।

ছাত্রদের সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাঃ-

বর্তমানে অভিভাবকদের কামনা তাদের সন্তান পড়াশুনার ইঁদুর দৌড়ে যেনতেন প্রকারণে এগিয়ে থাকো। ক্যারিয়ার তৈরির বাইরে আর তাদের কিছু বিবেচ্য বা করণীয় নেই। জীবনে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় যেনো আসল ব্যাপার।

এই প্রচলিত ধ্যান ধারণার ছাত্রসমাজ হয়ে পড়ছে আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর। তারা যুগের ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আস্তে আস্তে সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে বসছে।

ছাত্রদের স্বভাব বৈশিষ্ট্যঃ-

তারাই পারে পদাঘাতে কুসংস্কার ওকুপথার জগতদল পাথরকে পূর্ণ বিষন্ন করে দিতে পারে। শুষ্ক অর্থহীন আচার অনুষ্ঠানের বাহুল্য সমাজের গতিকে রুদ্ধ করে দিলে ছাত্রদলই পারে নবীন ট্রান্সপর্শে সমাজ কে আবার গতিময় করে তুলতে।

যে সমাজে তারা বড় হয়েছে সেই সমাজকে বিনিময়ে তারা কিছু দিতে চায়। ছাত্রদের দুর্বার তার শক্তিকে যদি সমাজ গঠনের কাজে লাগানো যায় তাহলে দেশ ও জাতির এমন উপকার হবে যার প্রভাব থাকবে যুগের পর যুগ।

সামাজিক দায়িত্বঃ-

ছাত্র সমাজের প্রধান দায়িত্ব অশিক্ষা ও নিরক্ষতার বিরুদ্ধে লড়াই। শিক্ষার অভাবে নিরক্ষর মানুষের জীবন দিশাহীন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

চোখ থাকতেও যারা অন্ধ তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতায় নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা বলবে মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক সমাজকে পদে পদে নিরক্ষরতা আর কুসংস্কার গ্রাস থেকে মুক্ত করে

তার জন্য একমাত্র ছাত্র দলই ঝড় তুলতে পারে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যার মুখোশ খুলেদিয়ে ছাত্ররাই পারে। এই জমাজকে জাগরণের আলোয় পরিচালনা করতে।

এই ভাবে সাম্প্রদায়িকতার বীজকে উদঘাটন করার ব্রত নিয়ে তাদের অগ্রণী হতে হবে। গণতন্ত্রের মোড়কে গণতন্ত্রের আসল রূপ দেশবাসীর সামনে তারা খুলে দেবে।

অন্যায় অবিচার অসামাজিকতা অশ্লীলতার বিরুদ্ধে লড়াই সংঘটিত করাই ছাত্রসমাজের দায়িত্ব। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করা যেতে পারে। আর নিপীড়িতদের সেবায় নিজেদের নিবেদিত করতে হবে। সমাজের বুকে ছাত্র ছাত্ররাই পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে।

উপসংহারঃ-

বর্তমান ভারতের সমস্যা নানাবিদ। প্রাচীন থেকে আধুনিকতায় উত্তরণ মূলক এই যুগসন্ধিক্ষণে ছাত্রদের ভূমিকায় প্রধান। অধ্যয়নের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যাপারেও তাদের সচেতন থাকতে হবে। এই হলো ছাত্র ছাত্রীদের দায়িত্ব বোধ সমাজের প্রতি কর্তব্ব আর সচেতনতা।

Leave a Comment