আমার প্রিয় বন্ধুরা তোমরা যারা ‘পরিবেশ ও মানবজীবন’ প্রবন্ধটি খুঁজছো তারা অবশ্যই সঠিক আর্টিকেলে এসে উপস্থিত হয়েছো
এই আর্টিকেলে আমি তোমাদের এই প্রবন্ধ নিয়ে একেবারে সহজ-সরল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছি।কোনোরকম না টেনে প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত যত্ন নিয়ে পড়ো অবশ্যই বুঝতে পারবে ও ফুলমার্কস পাবে। চলো দেখে নেওয়া যাক প্রবন্ধ টি।
ভূমিকাঃ-
জন্মলগ্ন থেকেই পরিবেশের সঙ্গে মানুষের যোগসূত্রতা। পরিবেশ থেকেই মানুষ পায় বেঁচে থাকার রসদ। পরিবেশের মধ্যে রয়েছে শাসন, জীবন বৃদ্ধির প্রতিকূলতা।পরিবেশের প্রভাব মানুষের অন্তর জগতে ও পড়ে। আর তারই জন্য মানুষ সহনশীলতা নম্রতা শেখে। সব মিলিয়ে পরিবেশ মানুষের জীবনে মায়ের মত।
পরিবেশ ও প্রতিবেশঃ-
মানুষ যে পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে তার বাহ্যিক রূপ একরকম আবার অভ্যন্তরীণ রূপ অন্য একরকম। বাহ্যিক রূপে রয়েছে আকাশ -বাতাস,সমুদ্র -পর্বত, নদী -অরণ্য শ্যামল সুষমামন্ডিত শস্যক্ষেত্র আবার কোথাও বা ঊষর মরুভূমি।আবার অপরদিকে রয়েছে পরিবার,সম্প্রদায়, কৃষ্টি ঐতিহ্য সংস্কৃতি। মা যেমন শিশুকে বাঁচতে সাহায্য করে প্রতিবেশ বা পরিবেশ তেমনি শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দেহ ও মন দুই এর পূর্ণতাতেই মানুষ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
পরিবেশ-প্রাচ্যে ও প্রতীচ্যেঃ-
পরিবেশ ও মানুষ এক গভীর বন্ধনে আবদ্ধ।কিন্তু প্রতিচ্যে অর্থাৎ পশ্চিমি দেশগুলিতে এ ধারণায় ঐক্যমত ছিল না।এ কথা ঠিকই মানুষ প্রকৃতির কাছ থেকে। তাই প্রকৃতি মানুষের শিক্ষক।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন জীবন ও শিক্ষা এক তন্ত্রীতে বাঁধা।তাই তিনি শান্তিনিকেতনের বুকে গড়ে তুলেছিলেন মানুষের জন্য আদর্শ শিক্ষা কেন্দ্র যা বর্তমানে সারা পৃথিবীর কাছে একটি আদর্শ শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত।
শিক্ষায় পরিবেশ প্রাধান্য ও স্বরূপঃ-
আমরা যদি প্রাচীন ভারতবর্ষের দিকে ফিরে তাকায় তাহলে দেখি মুনিরা তপোবন কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন শিশুদের জন্য। কর্ম ও প্রকৃতিকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন, কিন্তু মানুষ তো একাকী বাঁচতে পারে না প্রয়োজন সমাজ। তাই শিক্ষাধারায় এল সামাজিক পরিবেশ।পারিপার্শ্বিককে নিয়েই মানুষকে চলতে হবে।নিজেকে নিয়ে ভাবার সঙ্গে সঙ্গে অপরের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তাতে জাগবে মনুষ্যত্ববোধ,সহমর্মিতাবোধ ও আনুগত্য।
পরিবেশ ও জীবনঃ-
সমাজে নানান পরিবেশ,তাই মানুষের জীবনও ভিন্ন ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত। আবার সমাজ ব্যবস্থায় দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত মানুষ যেমন আছে; রয়েছে তেমনি বর্ণগত, সম্প্রদায়গত ও ভিন্নতা।আজও ভারতবর্ষে নিরক্ষর মানুষের জন্য সর্বশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। দরিদ্র মানুষ পায়না শিক্ষার সুযোগ। এর ফল বড়ই বেদনাদায়ক। সুস্থ সুন্দর পরিবেশ না পেয়ে মানুষের জীবন বিপথগামী। সামাজিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা। মানুষের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতার ভাব কাটাতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় পরিশীলিত করে তুলতে হবে শিশু কিশোরদের।ব্যবহার, আচরণ শ্রদ্ধাভাব জাগ্রত রেখে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। তবে জীবন সুন্দর ও শান্তির হবে।
উপসংহারঃ-
অদূর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমাদের শিশুদের যোগ্য করে তুলতে হলে তাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে ভালো করে অবহিত করাতে হবে। বড়দের দায়িত্ব অনেক। উদ্দেশ্য পূরণে সৎভাবনা ও সৎকর্ম প্রয়োজন। শিশুর পরিবেশ যেমন হবে শিশুর জীবনও ঠিক তেমনি তৈরি হবে।