বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা [Biggan o Kusanskar Essay]

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা [Biggan o Kusanskar Essay] – প্রিয় বন্ধুরা তোমরা কি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ ‘বিজ্ঞান ও কুসংস্কার’ প্রবন্ধ টির খোঁজ করছো যদি তাই হয় অবশ্যই তুমি একদম সঠিক আর্টিকেলে এসে উপস্থিত হয়েছো।এই আর্টিকেলে আমি তোমাদের সাথে এই প্রবন্ধ টি সহজ -সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছি। অনুগ্রহ করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যত্ন নিয়ে পড়ো এবং পরীক্ষায় অনায়াসেই ফুলমার্কস পাও।তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক প্রবন্ধ টি।

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা [Biggan o Kusanskar Essay]

ভূমিকাঃ-

প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ ছিল নিতান্তই প্রকৃতি নির্ভর। প্রকৃতির নির্মম ঝড় -ঝঞ্ঝায়, প্রবল বন্যা ও খরায় এবং ভূমিকম্পের বিধ্বংসী আলোড়নে মানব জীবন ক্ষণে ক্ষণে বিপর্যস্ত হয়েছে। চন্দ্রগ্রহণ,সূর্যগ্রহণ এসব কিছুকে দৈব নির্ভর বলে মানুষ মেনে নিয়েছে। আর দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু ভালো মন্দ ঘটছে সবকিছুর পিছনে দেব দেবীর প্রভাব আছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে নিয়েছে।

কুসংস্কারের স্বরূপঃ-

যে বিশ্বাসের পিছনে কোন যুক্তি নির্ভরতা নেই, কোন তথ্যভিত্তিক প্রমাণাদি নেই,তাকেই আমরা কুসংস্কার বলি অর্থাৎ যুক্তিহীন অন্ধবিশ্বাসীই হল কুসংস্কার যার বশবর্তী হয়ে মানুষ সত্যকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।

বিজ্ঞানের স্বরূপঃ-

বিজ্ঞান কথাটির অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান অর্থাৎ কোন কিছু অজানা বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে কোন কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ।সে ক্ষেত্রে একই কার্যকারণের ফলে একই ফল হয়। সেটাই পূর্ণাঙ্গ সত্য। সেটাই বিজ্ঞান। এখানে আছে শুধু বিচার- বিবেচনা, যুক্তি দিয়ে বিশেষ জ্ঞানে পৌঁছানো।

কুসংস্কারের বিভিন্ন প্রকারঃ-

একবিংশ শতাব্দীর উষালগ্নে কম্পিউটার,রোবট ইত্যাদির যুগে পাহাড়ের মত উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হাঁচি থেকে পিছু ডাকা, টিকটিকির হাঁচি আরো কত কি ভোরের স্বপ্ন নাকি বিফল হয় না মেয়েদের বাম চোখ নাচলে নাকি শুভ হয় অপরপক্ষে ডান চোখ নাচানাচি ভারি অপয়া কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া মেয়েদের চুল কাটা ভূতের উপস্থিতি ইত্যাদি এছাড়া এমনকি পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যক্ষ বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সময় ঝাঁটা দেখেছিলেন বলে সেদিনটি আর কাজেই যাওয়া হলো না এরকম অনেক হাজার হাজার নাগপাশে আমাদের দিনক্ষণ বাঁধা।

কুসংস্কার দূরীকরণে আমাদের করণীয়ঃ-

কুসংস্কার দূরীকরণের প্রধান হাতিয়ার হল বিজ্ঞান। মানুষের বিজ্ঞান চেতনা কে বৃদ্ধি করতে পারলেই এই দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আমরা মুক্তি পাবো এ ব্যাপারে বিজ্ঞান পরিচালিত বিতর্ক সভা আলোচনা চক্র প্রদর্শনাদি ইত্যাদি সুরাহা দিতে পারে।

উপসংহারঃ-

বিজ্ঞান চেতনায় পারে মানুষকে কুসংস্কার থেকে মুক্তি দিতে। তাই সব কিছুকে যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আর তার জন্য চায় শিক্ষা, সার্বিক শিক্ষা। শিক্ষা প্রসারে সঙ্গে সঙ্গে কুসংস্কারের অপসারণ সম্ভব তবে পৃথিবী কুসংস্কার মুক্ত হবে।

Leave a Comment

Don`t copy text!