Tomar Dakha Ekti Mela Essay – প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা।আশা করি তোমরা ভালো আছো।আমিও ভালো আছি।আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো ‘তোমার দেখা একটি মেলা‘ নিয়ে লেখা একটি প্রবন্ধ রচনা।
পরীক্ষায় অনেক সময় এইধরণের রচনা এসে থাকে।যদি তুমি বা তোমরা আজকে আমার লেখা এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে পড়ে তৈরি করে পরীক্ষায় খাতায় ফুটিয়ে তোলো তাহলে অবশ্যই তুমি ফুলমার্কস পাবে।তাহলে চলো শুরু করা যাক।
ভূমিকাঃ-
বাংলা সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল মেলা। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে বিভিন্ন মেলা। মেলা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো মিলন। যেখানে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়। আমাদের সংস্কৃতিতে প্রচলিত আছে বৈশাখী মেলা, বিজ্ঞান মেলা, পৌষ মেলা, বইমেলা,বাণিজ্য মেলা প্রভৃতি।আমাদের সংস্কৃতিতে মেলার গুরুত্ব অপরিসীম।
বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মেলা উদযাপিত হয়।সাধারণত খোলামেলা পরিবেশে যেখানে অসংখ্য মানুষ এসে মিলিত হতে পারে সেই রকম এক খোলা পরিবেশে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শহর বা গ্রাম সব জায়গাতেই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে শহরে যেখানে খোলা পরিবেশ থাকে সেখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয় অন্যদিকে গ্রামের পরিবেশে অধিকাংশ জায়গায় খোলামেলা তাই সহজেই এখানে যত্রতত্র মেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আমার দেখা একটি মেলার চিত্রঃ-বৈশাখী মেলা-
নতুন বছরের হাতছানিতে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। স্থানীয় গ্রামবাসীবৃন্দ এই মেলার আয়োজন করেন। পহেলা বৈশাখ যেহেতু ছুটির দিন সেহেতু অজস্র মানুষের আগমন ঘটে গ্রামের এই বৈশাখী মেলায়। আনন্দে মেতে ওঠে হাজার হাজার মানুষ। বৈশাখী মেলায় অনেক রকম জিনিস পাওয়া যায় বিশেষ করে ঘর সাজানোর জিনিস প্রসাধনের সামগ্রী,বাচ্চাদের খেলনা, মেয়েদের গহনা,মাটির জিনিসপত্র এবং দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য নানা জিনিসপত্র মেলায় কিনতে পাওয়া যায়।
প্রত্যেকটি দোকানে অসংখ্য জিনিসপত্রে পরিপূর্ণ থাকে, দোকানগুলোতে মানুষ তাদের পছন্দমত জিনিসগুলি কেনে।ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের পছন্দের খেলনা বা বেলুন গুলো কেনে। মেয়েদের দেখা যায় প্রসাধনের সামগ্রী দোকান গুলোতে এছাড়া পাওয়া যায় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রির দোকান যেমন গরম গরম জিলাপি ভাজা এবং আরো মিষ্টি যুক্ত খাবার।মেলার মানুষজন এগুলো কিনে ঘুরে বেড়ায় আর খায়।
আর খাবার কিনে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মেলার এক কোনায় চলে সাপের খেলা যা দেখতে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে এছাড়া সার্কাস খেলা যার সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।এখানেও অসংখ্য মানুষের ঢল পড়ে এছাড়া মেলায় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন শিল্পী তারা তাদের গান পরিবেশন করে এছাড়াও যাত্রাপালাও অনুষ্ঠিত হয়।
আমার দেখা বৈশাখী মেলার স্মৃতিঃ-
দিনটা ছিল শুক্রবার।আমার পাশের গ্রামের মাঠে তিন দিনব্যাপী এই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।আমাদের চারপাশের ছেলেমেয়েরা অনেকেই মেলায় গিয়েছিল তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে ছিল যেমন রসগোল্লা, টমটমি গাড়ি বন্দুক পিস্তল এছাড়া আরো অন্যান্য সামগ্রী।মা আমাকে এই মেলায় ৫০০ টাকা হাতে দিয়ে পাশের বাড়ির এক দাদার সাথে আমাকে মেলায় পাঠিয়ে ছিলেন।
আমি সেই মেলায় সারাদিন ঘুরলাম।নাগর দোলনা চড়লাম এছাড়া আরো অন্যান্য আমার পছন্দনীয় খাবারগুলি মন ভরে খেয়েছিলাম বিশেষ করে আমার পছন্দের গরম জিলিপি।অনেক অনেক জিনিসই খেয়েছিলাম মেলা থেকে আমার ছোট বোনের জন্য গুড়ের ঝুড়ি আর টমটমি গাড়ি কিনেছিলাম।
বাড়ি ফিরতে যথেষ্ট রাত হয়ে গিয়েছিল রাতে পথে শিয়াল কুকুরের ডাক শুনে আমি যথেষ্ট ভয় পেয়েছিলাম অবশেষে মেলা থেকে এসে আবার খুব ভালো লাগছিল আমার ছোট বোন খুবই খুশি ছিল এই খেলনা এবং খাবারগুলিতে এই মেলার স্মৃতি আজীবন আমার স্মৃতিতে রয়ে যাবে।
উপসংহারঃ-
গ্রাম বাংলার বুকে যেসমস্ত সর্বজনী অনুষ্ঠান গুলি পালন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি অনুষ্ঠান হল এই মেলা। যেখানে জাতি- ধর্ম-বর্ণ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এসে মিলিত হয়।