স্বামী বিবেকানন্দ রচনা [Swami Vivekananda]

স্বামী বিবেকানন্দ রচনা – Swami Vivekananda

ভারতবর্ষের গণ্যমান্য মহাপুরুষের তালিকার এক অন্যতম ব্যাক্তিত্ব স্বামী বিবেকানন্দ [Swami Vivekananda] এই সম্পূর্ন রচনাটি তার জীবনকে অনুসরন করেই লেখা। ক্লাস ৬ থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত সব ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীরা রচনাটি পড়ে সহজেই মুখস্ত করে নিতে পারবে।

স্বামী বিবেকানন্দ রচনা [Swami Vivekananda]

এখানে যেমন তার দামাল শিশু জীবনের বর্ননা রয়েছে তেমনি, সমাজকে দেখার ও সমাজের উন্নতির জন্য যে দৃষ্টি ভঙ্গির পরিচয় রেখে গেছেন তা কিছুটা হলেও রচনাটি তুলে ধরা হয়েছে।

ভূমিকা

যে সকল মহামানব আধুনিক ভারত বর্ষ গড়ে তুলতে জীবন পণ সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে একজন হল স্বামী বিবেকানন্দ।

ভারতীয় ধর্ম ও আদর্শকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ। তার নেতৃত্বে সন্ন্যাসীরা মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করার ব্রত গ্রহণ করেন।

বিবেকানন্দ ভারতবর্ষে সাধারণ মানুষের কাছে শ্রেণী বর্ণ নির্বিশেষে সেবা ধর্মের কথা বলে গেছেন। বিবেকানন্দের আসল নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত।

জন্ম ও বংশ পরিচয়।

১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ ই জানুয়ারি কলকাতার সিমলা অঞ্চলে সুবিখ্যাত দত্ত পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। তার বাবার নাম বিশ্বনাথ দত্ত ও মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। শৈশবে তার নাম ছিল বীরেশ্বর বা বিলে।

বাল্য জীবন ও শিক্ষা।

তিনি ছেলেবেলা থেকেই সাহসী ও ধার্মিক ছিলেন। আর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী ছাত্র। প্রথমে গৃহ শিক্ষকের কাছে পরের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন এবং আরো পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।

১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে বিএ পাস করেন জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন থেকে আইনি পড়বার সময় হঠাৎ তার বাবা মারা গেলে সংসারে অর্থ কষ্ট দেখা দেয় ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ঈশ্বর বিশ্বাসী। এক সময় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

তিনি তার প্রতি এক গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন। দক্ষিণেশ্বরে ঘন ঘন যাতায়াত শুরু হয় তার। অবশেষে তিনি রামকৃষ্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

কর্মজীবন ও আদর্শ

সন্ন্যাস গ্রহণ করার পর তার নাম হয় স্বামী বিবেকানন্দ। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের তিরোধানের পর তিনি পরিব্রাজক হয়ে সারা ভারত ঘুরে বেড়ান।

এবার তিনি শুরু করলেন মানব সেবার কাজ। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগো শহরের ধর্ম মহাসভায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আমেরিকা যান।

ওই সভায় তার বক্তৃতা শুনে উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হন। সারা পৃথিবীতে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। বহু বিদেশি তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

দেশে ফিরে এসে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি গড়ে তোলেন রামকৃষ্ণ মিশন এবং ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন বেলুড় মঠ এছাড়াও তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বর্তমান ভারত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভারতে বিবেকানন্দ পরিব্রাজক ও বীর রানী। স্বামী বিবেকানন্দের বাণীর দ্বারা মানব সমাজ উদ্বুদ্ধ ও প্রবাভিত।

উপসংহার।

স্বামী বিবেকানন্দ একজন অসাধারণ পুরুষ ছিলেন। তার বক্তৃতার ভাষা ছিল যেমন তেজস্বী তেমনি প্রাণবন্ত ছিল তার কলম। দুর্বল প্রাণহীন জাতিকে মানবতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তার লক্ষ্য।

জাতীয় জীবনে নব চেতনা সঞ্চারে অত্যাধিক পরিশ্রমে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ৪ঠা জুলাই মাত্র ৩৯ বছর বয়সে বেলুড় মঠে তিনি পরলোক গমন করেন।

Leave a Comment