বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ রচনা [Rabindranath Tagore Essay]

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ রচনা [Rabindranath Tagore Essay] – প্রিয় বন্ধুরা তোমরা যারা অনলাইনে একদম সহজ -সরল ভাষায় বিশ্বকবি প্রবন্ধ টি খুঁজছেন তারা একদম সঠিক পোস্টেই এসে উপস্থিত হয়েছেন কারণ আমি এই আর্টিকেলে তোমাদের উদ্দেশ্যে বিশ্বকবি সম্পর্কে একদম সহজ -সরল ভাষায় এটি লিখেছি তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক এই প্রবন্ধ টি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ রচনা [Rabindranath Tagore Essay]

ভূমিকাঃ-

বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল ধ্রুবতারা সদৃশ কবি হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ তিনি কেবল বাঙালির তথা ভারতবাসীর আদরনীয় কবিই নন, তিনি বিশ্ববাসীর প্রিয় কবি হয়ে উঠেছিলেন

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ-

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতার নাম সারদা দেবী।

শিক্ষালাভঃ-

বিশ্বকবি ছাত্রাবস্থার শুরুতে ওরিয়েন্টাল সেমিনারী ও পরে নর্মাল স্কুল তারপর এই শিক্ষা ব্যবস্থা পছন্দ না হওয়ায় তিনি গৃহ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষাগ্রহণ শুরু করেন। অর্থাৎ ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ওরিয়েন্টাল সেমিনারী স্কুলে ভর্তি হলেও প্রথাগত শিক্ষা অসম্পূর্ণ রাখেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অসম্পূর্ণ থাকলেও বাড়িতে যোগ্য গৃহশিক্ষকদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠগ্রহণ করেছিলেন কবি।

ব্যক্তিজীবনঃ-

কবি ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিলেত যান।১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ভবতারিণী দেবীর সঙ্গে।ভবতারিণীর নতুন নাম হয় মৃণালিনী দেবী।১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বৌঠান কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা করেন আবার এই বছরই কবিকে বাবার নির্দেশে জমিদারি দেখাশোনার ভার গ্রহণ করতে হয়।

কর্মজীবনঃ-

সাহিত্য কর্ম ছাড়াও কবি শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কবি ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন।

রচনাবলীঃ-

বিশ্বকবি সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো ‘সোনার তরী’, ‘গীতাঞ্জলি’, ‘মুক্তধারা’, ‘চোখের বালী’, ‘ছুটি’, ‘গুপ্তধন’ ইত্যাদি। এছাড়া কাব্য, নাটক, উপন্যাস, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ সাহিত্যেও কবির যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

সম্মান ও স্বীকৃতিঃ-

সারাজীবন তিনি বহু সম্মান ও স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্য হলো ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ।

উপসংহারঃ-

দীর্ঘ ৮০ বছরের জীবনে যেমন তিনি সাহিত্য রচনা করেছেন তেমনি মর্যাদা এবং সাফল্যও পেয়েছেন। তিনি জীবনের শেষ সায়াহ্নে এসেও তাঁর লেখালেখি ছাড়েননি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই আগস্ট বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবণ মারা যান।

Leave a Comment