ভূমিকম্প কি বা কাকে বলে?

ভূমিকম্প কাকে বলে বা কি?

ভূমিকম্প হল পৃথিবীর ভূত্বকের হঠাৎ কেঁপে ওঠা বা কম্পন, যা মাটির নিচে শক্তি মুক্তির কারণে ঘটে। সাধারণত টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ, সরে যাওয়া বা ভূগর্ভস্থ শিলাস্তরের ভাঙনের কারণে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের সময় মাটি, ভবন এবং অন্যান্য কাঠামো কাঁপতে শুরু করে।

এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরের শক্তি বা চাপ যখন মুক্ত হয়, তখন শকওয়েভ বা কম্পন আকারে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছায়। এই প্রাকৃতিক ঘটনা মানবজাতির জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে, বিশেষত যদি এর তীব্রতা বেশি হয় এবং জনবহুল অঞ্চলে ঘটে।

ভূমিকম্প কি বা কাকে বলে?

ভূমিকম্প কি?

ভূমিকম্প হল পৃথিবীর ভেতরের প্লেটগুলির চলাচলজনিত কারণে সৃষ্ট একপ্রকার কম্পন। এটি মাটি, বাড়িঘর, এবং অন্যান্য কাঠামো কাঁপিয়ে তোলে। ভূমিকম্প সাধারণত ভূগর্ভস্থ শিলাস্তরের ভাঙ্গন বা টেকটোনিক প্লেটের স্থানান্তরের কারণে হয়।

ভূমিকম্পের মাত্রা

ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ধারণ করতে “রিক্টার স্কেল” ব্যবহার করা হয়। রিক্টার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ১ থেকে ১০-এর মধ্যে হয়।

  • ১-৩ মাত্রা: অনুভূত হয় না বা খুব সামান্য কম্পন।
  • ৪-৬ মাত্রা: মাঝারি মাত্রার কম্পন, যা কিছু ক্ষতি করতে পারে।
  • ৭ বা তার বেশি মাত্রা: অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পন, যা বড় ধরনের ধ্বংস সাধন করতে পারে।

ভূমিকম্পের কারণ ও উৎস

  1. টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি: পৃথিবীর ভূত্বকের প্লেটগুলি চলাচল করার সময় সংঘর্ষ বা সরে যাওয়ার ফলে ভূমিকম্প হয়।
  2. ভূগর্ভস্থ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত: আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের কারণে মাটি কেঁপে ওঠে।
  3. মানুষ সৃষ্ট কার্যক্রম: খনি খনন, বাঁধ তৈরি বা ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।

ভূমিকম্পের ফলাফল

  • বাড়িঘর, সেতু ও রাস্তাঘাটের ধ্বংস।
  • মানুষের প্রাণহানি এবং আহত হওয়া।
  • ভূমিধস ও সুনামি।
  • পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি।

ভূমিকম্প জোখা যন্ত্রের নাম

ভূমিকম্প পরিমাপের যন্ত্রকে সিসমোগ্রাফ বলা হয়। এটি মাটির কম্পন রেকর্ড করে এবং ভূমিকম্পের শক্তি নির্ণয় করে।

ভূমিকম্প হলে করণীয় কি?

  1. মজবুত আসবাব বা টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন
  2. জানালা, আয়না বা ভারী আসবাবপত্র থেকে দূরে থাকুন।
  3. খোলা জায়গায় চলে যান, যদি সম্ভব হয়।
  4. ভবনের ভেতরে থাকলে লিফট ব্যবহার করবেন না।
  5. ভূমিকম্পের পরে গ্যাস লিক বা আগুনের জন্য সতর্ক থাকুন।

ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও সচেতনতা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে এর ক্ষতি কমানো সম্ভব। সঠিক তথ্য ও প্রশিক্ষণ মানুষকে নিরাপদ রাখতে পারে।

Leave a Comment

Don`t copy text!