আপনি হয়ত তিন আইন কী Teen Aain Ki? জানতে চাইছেন, আপনি হয়ত পড়েছেন কিন্তু সেটি অনেক কঠিন ভাষায় ছিল তাই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, অথবা ইতিহাস বইয়ে টিকাটি খুজে পাননি, এখানে আপনার খোঁজ শেষ হলো।
আরো পড়ুন – আবহাওয়া কাকে বলে?
আমরা এখানে সুন্দর এবং সহজ ভাষায় ৩ আইন এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা প্রস্তুত করেছি। আশা করি আপনার এটি ভালই লাগবে।
মধ্য যুগ সমাজের উন্নতির জন্য একই সাথে ৩ টি আইনের উপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয় এবং সরকারি ভাবে এই আইন গুলি পাশ করানো হয়। এই আইন গুলি কে একসাথে তিন আইন বলা হয়ে থাকে।
তিন আইন কাকে বলে? ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে এগুলিকেই একত্রিত ভাবে তিন আইন বলা হয়।
এই আন্দোলনে চাপে পড়ে ব্রিটিশ সরকার ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে 2 রা মার্চ এই তিনটি আইন বা ব্রাহ্ম বিবাহ আইন পাস করেন। এই আইন গুলি হলো যথাক্রমে:-
তিন আইন কী?
১. পুরুষের বহুবিবাহ ও কুলিন প্রথা রদ হয়।
২. মেয়েদের বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ কে বন্দ করা হয়।
৩. অসবর্ণ বিবাহ স্বীকৃতি দেয়া।
প্রচলিত কোন নির্দিষ্ট ধর্মের আশ্রয়ে না থেকে যে সকল ব্যাক্তি বা মহিলারা অসবর্ণ বিবাহ করতে চাইবে, তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়।
তিন আইন বা ব্রাহ্ম বিবাহ আইনের দ্বারা হিন্দু সমাজের জাত পাতের বেড়াজাল ভেঙে যায়। কুসংস্কার অনেকটাই দূর হয় এবং নারী ও সাধারণ মানুষের আর সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষ গুলির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।