দুর্গাপূজা রচনা Durga Puja Rachana
কেমন আছো আমার ছোট্ট বন্ধুরা? আজ আমরা লিখে ফেলেছি দুর্গাপূজা রচনা ছোটদের জন্য ক্লাস ১ থেকে ৭ পর্যন্ত সবাই এটি পড়তে পার।
- আরও পড়ুন – সূর্য প্রণাম মন্ত্র বাংলা
আমরা তো দূর্গা পূজোয় খুব আনন্দ করি মজা করি, তোমরা কি জানো? মা দুর্গাকে কেনো পুজো করা হয়? কি জন্য আমরা সবাই দূর্গা পূজার জন্য এত অপেক্ষা করে থাকি? এই সবই আমরা দূর্গা পূজা রচনার মধমে যাবো।
সূচনা:
দূর্গা দেবী ছিলেন, মহাদেব শিবের স্ত্রী। তাই দূর্গা সারা বছর শিবের কাছে থেকে তার দেখা শোনা, সেবা করত। বছরে একবার ৫ দিনের জন্য, সে বাবার বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেত।
সেই দিন গুলিকেই পঞ্চমী, সস্থি, সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমী বলা হয়। যে দিন গুলিতে দেবী দুর্গা তার বাপের বাড়ি আসত।
এই পাঁচ দিন তার অনেক যত্ন করে হত, ভালো ভালো খাবার খাওয়া হত। তাকে পূজা করা হত। বলা যায় তাকে একদম রনির হলে রাখা হতো।
বিষয়বস্তু:
যে ৫ দিন দেবী দূর্গা তার বাপের বাড়ি থাকত, সেই কদিন যেমন তার পরিবারের মানুষ খুশি হত তেমনি পারা প্রতিবেশী খুশি হত, তার থেকেই আমরা দূর্গা পূজা পালন করা হয়।
এই দিন গুলির জন্য ছোটো, বড়ো সবাই অনেক অপেক্ষা করে থাকে, অবশেষে শরত কলে এই পাঁচটি দিন এলে তৈরি হয়, বড় বড় প্যান্ডেল, পূজা মন্ডপ। আর আলোর রকমারি।
সেখানে নিয়ে আনা হয় সুন্দর সুন্দর প্রতিমা, আর সে প্রতিমার সামনে আমরা সবাই গিয়ে প্রার্থনা করি, পুরোহিতের পূজা করা দেখি, নতুন জামা কাপড় পড়ে বেড়িয়ে পড়ি ঠাকুর দেখতে দুর দূরান্তে, এই ভাবে মানুষের পরিচয় হয় অন্য আরো নতুন মানুষের সাথে, এই কদিন আমরা সকলে আনন্দে আত্তহারা হয়ে উঠি।
বাড়িতে রান্না হয়, সুন্দর সুন্দর খাবার, কোনোদিন, লুচি, আবার কোনোদিন পিঠে, সন্দেশ, দই, আরো মিষ্টান্ন । এই ৫ দিন মানুষ অনেক আনন্দ করে, মজা করে। যা হয়তো আর ফিরে আসেনা বছরের অন্য কোনো দিনে।
উপসংহার:
কোনো জিনিস চিরস্থায়ী নয়, ৫ দিন খুব আনন্দ করার পর, দেবী দুর্গাকে আবার ফিরে যেতে হয়, তার স্বামীর ঘরে, সেই ফিরে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেবীকে বিদায় জানাতে হয়। অবশেষ দশমীর দিন দেবীর বিসর্জন হয়।
সেদিন সবাই দুঃখী, সবাই মিলে দূর্গা কে দিয়ে আসি তার স্বামীর ঘরে। আমাদের আনন্দ সমাপ্তি হয়। আবার চেয়ে থাকি পরের বছরের এই ৫ টি দিনের দিকে।
- দূর্গা পূজা কে প্রথম চালু করেন? কৃষ্ণ প্রথম দুর্গাপূজা করেছিলেন
- দুর্গার অপর নাম কি? দেবী পার্বতী জগদম্বা,সীতা,রাধা, চামুণ্ডেশ্বরী,ভদ্রকালী,গুহ্যকালী,শ্মশানকালী, মহাকালী,মঙ্গলচন্ডী, মহামায়া, অপরাজিতা, সত্যভামা