আজ আমাদের আজকের বিষয়বস্তু হলো ছাত্রজীবনে চলচ্চিত্রের প্রভাব রচনা [Chatrajibone Chalachitter Prabhab Rachana]। অনেক রিসার্চ করে আর বই ঘেটে আমরা এই রচনাটি প্রস্তুত করেছি। অন্যান্য রচনার মতো এই রচনাতে আর ব্যবহার করেছি সহজ সরল ভাষা, মনে রাখার মতো ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ যা স্মরণে রাখার জন্য বেশ সহ। যদি ১০ থেকে 20 নম্বর রচনা টি লিখতে বলে তবে তুমি এই রচনাটি খাতায় লিখে লিখে আসলে আসা করা যাই পুরো নম্বর টি তুলে নিতে পারবে।
ভূমিকাঃ-
আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় চলচ্চিত্র হলো শিল্প মাধ্যমগুলির মধ্যে কনিষ্ঠতম ও সবথেকে শক্তিশালী গণমাধ্যম বলা যায় চালচিত্র। সাহিত্য, সংগীত, নিত্য, এই সবকিছুরই সমন্বয় ঘটেছে চলচ্চিত্রে।চূড়ান্তভাবে বাস্তবধর্মী হওয়ার কারণে সিনেমা আকর্ষণ ও আবেদন তুলনাহীন ছাত্রীদের উপর এর প্রভাব গভীর ও সুদুর প্রসারী।
ছাত্রসমাজের উপর চলচ্চিত্রের সুপ্রভাবঃ-
চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে এক সিংহভাগ হলো ছাত্রসমাজ। মোবাইল ল্যাপটপ ইন্টারনেটের দৌলতে আধুনিক জীবন যাপনে চলচ্চিত্র এখন হাতের মুঠোয়। চলচ্চিত্রের আবেদন এমনিতেই দর্শকের মনে ও মননের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে তাদের বয়স সংবেদনশীলতার কারণে সেই প্রভাব হয় আরো জোরালো। তাদের চারিত্রিক গঠনের ব্যাপারে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। বিদ্যালয়ের স্তরে আমার প্রমোদের কর্মসূচি অন্তর্গত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের যে ব্যবস্থা করা হয় তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নানাবিদ মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটানো।
শুভ চেতনার বিকাশ সাধন প্রচারমূলক চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সামাজিক সচেতনতা। নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক ধ্যান ধারণা। বিশেষ কোনো অভিযানের প্রতি আগ্রহ উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলা। অনেক সহজ ও সফল প্রতিপন্ন হয়। ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাজ সংসারে নারীর অধিকার ব্যক্তিজীবনে পরিবারের গুরুত্ব প্রবীণ
চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে এক সিংহভাগ হলো ছাত্রসমাজ। মোবাইল ল্যাপটপ ইন্টারনেটের দৌলতে আধুনিক জীবন যাপনে চলচ্চিত্র এখন হাতের মুঠোয়। চলচ্চিত্রের আবেদন এমনিতেই দর্শকের মনে ও মননের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে তাদের বয়স সংবেদনশীলতার কারণে সেই প্রভাব হয় আরো জোরালো।
তাদের চারিত্রিক গঠনের ব্যাপারে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। বিদ্যালয়ের স্তরে আমার প্রমোদের কর্মসূচি অন্তর্গত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের যে ব্যবস্থা করা হয় তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নানাবিদ মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটানো।
মানুষদের প্রতি নবীন প্রজন্মের দায়-দায়িত্ব এবং তাছাড়াও বিভিন্ন সমাজ মূলক সমস্যা কুপথা কুসংস্কার এসব বিষয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যথাযথভাবে তুলে ধরা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তা অনেক বেশি কার্যকরী প্রভাব ফেলে।
সন্ত্রাসবাদ এর বিশ্ব উষ্ণায়ন মাদকাসক্তি বর্ণবৈষম্য প্রভৃতি বিশ্বব্যাপী সমস্যা গুলির ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে চলচ্চিত্র কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে । জীবনের লক্ষ্য স্থির করার সময় প্রশস্ত সময় ছাত্রাবাস্তা এবং এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করার আদর্শ উপায় চলচ্চিত্র। সব মিলিয়ে ছাত্র সমাজের উপর চলচ্চিত্রের ভালো প্রভাবের কোন সীমা নেই।
ছাত্রসমাজের উপর চলচ্চিত্রের কুপ্রভাবঃ-
চলচ্চিত্র ছাত্র সমাজের ওপর প্রচুর ইতিবাচক না প্রভাব বিস্তার করলেও অবশ্যই রয়েছে কিছু নেতিবাচক প্রভাব। মারদাঙ্গা, হিংসা, অশ্লীলতা প্রভৃতি বেপরোয়া চিত্রকর্ষক প্রদর্শন অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের সংবেদনশীল মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধূমপান মদ্যপান মাদক সেবন ইত্যাদি নানান অভ্যাসের মূলে বহু ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের প্রভাব থাকে।
চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত বহু নির্বোধ চটকদার কেরামতির অন্ধ অনুকরণের চেষ্টা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে অনেক সময় বিপদ-আপদ ডেকে আনে। আদতে চলচ্চিত্র দেখার মাত্রাতিরুক্ত অভ্যাস ও ছাত্র জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
উপসংহারঃ-
আধুনিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ চলচ্চিত্র স্বদেশসহ বিভিন্ন বিশ্বের রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক রূপরেখার সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে চলচ্চিত্রের জুড়ি মেলা ভার।প্রত্যেক দেশের ছাত্র সমাজ সে দেশের ভবিষ্যতের রূপকার যথাযথভাবে পালন করার লক্ষ্যে তাদের হতে হবে।
ওয়াকিবহন সচেতন সুনাগরিক আর এ ব্যাপারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবশ্যই নিতে পারে চলচ্চিত্র।