চরিত্র গঠনে খেলাধূলার ভূমিকা রচনা [Charitra Gathane Kheladhular Bhumika Essay]
ভূমিকাঃ-
শরীর ও মনের যৌথ প্রচেষ্টায় আগামীর সুখ সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি।খেলাধুলার মাধ্যমে জীবনের বিকাশ ঘটে,মানসিক উন্নতি ঘটে। মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের অপরিহার্য দলিল পত্র খেলাধুলা।সুস্থ শরীর ও সুস্থ মন পেতে খেলাধুলার বিকল্প কিছুই হতে পারে না।
খেলাধুলায় শরীর চর্চার উপযোগিতাঃ-
খেলাধুলায় প্রতিদ্বন্দিতার মূলে থাকে ক্রীড়াবিদদের অদম্য দক্ষতা যা গড়ে তুলতে প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম,অঙ্গ সঞ্চালন।বাল্যকাল থেকেই শরীর গঠনের দিকে যথেষ্ট খেয়াল দেওয়া দরকার। সুস্থ শরীরে বিরাজ করে সুস্থ মন অফুরন্ত প্রাণশক্তি যা মানুষকে জীবনে কর্মঠ ও দৃঢ় করে তোলে।
খেলাধুলা ও বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধঃ-
প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দিতার সূত্র হলেও খেলাধুলার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব একসূত্রে বাঁধা পড়ে। বিশ্বভ্রাতৃত্ববো ধ জাগরনের মূল উৎস খেলাধুলা। জয় পরাজয়ের অংক হিসাব নয়। প্রতিযোগিতার আন্তরিকতায় উন্নত মানের ক্রীড়াকৌশলে হাজার হাজার মানুষের হৃদয় জয় করে নেয় খেলোয়াররা।দেশের মাটিতে বিদেশের খেলোয়াড়রা খেলতে এলে সমগ্র বিশ্বের সমগ্র বিশ্বের মধ্যে ঐক্য গড়ে ওঠে। এর ফলে একাধিক দেশের সাথে সেই দেশের সংস্কৃতির মিলন ঘটে।
শৃঙ্খলাবোধের জাগরণঃ-
কোন একক ব্যক্তি মাত্র নয় দেশ ও জাতির উন্নতির মূল শর্তই হলো শৃঙ্খলাবোধ। যা ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে তৈরি হয় যা ব্যক্তি চরিত্র গঠনে সহায়ক হয়ে ওঠে। উন্নত ব্যক্তি চরিত্র উন্নত সমাজ ও দেশ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
চরিত্র গঠনে খেলাধুলাঃ-
খেলা মানুষকে শিষ্টাচার ও সংযমের শিক্ষা দেয়।তাকে চারিত্রিকভাবে সূদৃঢ় ও বলিষ্ঠ করে গড়ে তোলে।তাকে একাগ্র, সহিষ্ণু, মহানুভব করে তোলে। খেলার হার জিত মানুষকে ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়া মেনে নিতে শেখায়। তাই বলা যায় ক্রীড়া ক্ষেত্র মানুষের শরীর গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
খেলাধুলা ও শিক্ষাঃ-
শিক্ষা জীবিকা অর্জনের একটি শর্ত মাত্র। শিক্ষা সমগ্র জাতির অগ্রগতির ভিত্তি,মানুষের প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্র, দেহ -মনের সুশৃঙ্খল সামঞ্জস্য বিধান ই যথার্থ শিক্ষা অর্জনের সূত্র।খেলাধুলার আনন্দ স্পর্শে দেহ মন হয়ে ওঠে সজ সজীব ও প্রাণবন্ত। তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে খেলাধুলার যোগ নিবিড়। দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমিকে কাটিয়ে তোলার সহজ একটি উপায়। শিক্ষার প্রতি একাগ্র, একনিষ্ঠ করে তুলতে শিক্ষা ক্ষেত্রে খেলাধুলার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
উপসংহারঃ-
অতীতে মানুষ তার নিজের আনন্দ খোঁজার জন্যই খেলাধুলার আবিষ্কার করেছে।খেলাধুলা যেমন নির্মল আনন্দ দেয় তেমনি জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। শুধু তাই নয় খেলাধুলা ব্যক্তিকে নাম,যশ, খ্যাতি অর্থ এনে দেয়। মানুষকে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। পারস্পরিক তিক্ততা দূর করে মনে প্রশান্তি এনে দেয়। খেলার মাধ্যমে খেলোয়াড়রা দেশের প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেকে উপস্থাপন করে।দেশের সুনাম ও সম্মান বয়ে নিয়ে আসে। তাই জাতীয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম।