আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা [Adhunik Shikkhai Internet Essay] – প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি অনলাইনে ‘আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট /ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন /শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট /ইন্টারনেট ও তার ব্যবহার /শিক্ষায় ইন্টারনেট -সুবিধা ও অসুবিধা /ইন্টারনেট প্রবন্ধ রচনার খোঁজ করছো যদি তাই হয় তাহলে তুমি একদম সঠিক পোস্টেই এসে উপস্থিত হয়েছো।
এই আর্টিকেলে আমি তোমাদের জন্যে একদম সহজ -সরল ভাষায় এই প্রবন্ধ টি তৈরি করেছি।যদি প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত যত্ন নিয়ে পড়ে এটি তৈরি করো তাহলে অবশ্যই তুমি ফুলমার্কস পাবে গ্যারান্টি।তাহলে চলো বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক প্রবন্ধটি।
ভূমিকাঃ-
বিজ্ঞানের যেসব আবিষ্কার মানুষকে সভ্যতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে তার মধ্যে একটি অন্যতম আবিষ্কার হলো ইন্টারনেট। বর্তমান বিশ্বে বহু আলোচিত ও গতিময়তার এক মাইলফলক এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা। বর্তমান বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মকাণ্ডকে ইন্টারনেট এমন এক এমন এক সুতার বন্ধনে বেঁধে ফেলেছে তা ছিঁড়ে গেলে হয়তো সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থায় অচল হয়ে পড়বে।
ইন্টারনেট কি?
বিশ্ববিস্তৃত যোগাযোগ ব্যবস্থার এক যুগান্তকারী মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বব্যাপী সুবিশাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ইন্টারনেট বলা হয়।পৃথিবীব্যাপী মাকড়সার জালের মত কম্পিউটারে সংযোজকের জন্য বলা হয় WWW. বা World Wide Web.
ইন্টারনেট আবিষ্কারের ইতিহাসঃ-
১৯৬০ এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা এআরপিএ পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ইন্টারনেট ১৯৮৯ সালে আইএসপি দ্বারা সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর পরবর্তী সময়ের দিকে পশ্চিমা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে বিস্তৃতি লাভ করে। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা শতকোটি ছাপিয়ে গিয়েছে।
আধুনিক জীবন ও ইন্টারনেটঃ-
ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবনযাত্রা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।ইন্টারনেট হল এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা আমরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে বিশ্বের সমস্ত বিষয়ের খবরাখবর মুহূর্তের মধ্যেই জানতে পারি- দেখতে পারি -শুনতে পারি আধুনিক জীবনে ইন্টারনেটের উপকারিতা ও উপযোগিতা বর্ণনা করা বড়ই কঠিন। এর উপযোগিতা বিভিন্ন দিক নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
যোগাযোগেঃ-
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারে।
ব্যবসা-বাণিজ্যেঃ-
শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের অবদান অপরিসীম। বর্তমান সময়ে অনলাইন কেনাকাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া অনলাইন ব্যাঙ্কিং, টেলিফোন,টিকিট বুকিং, হোটেল পরিষেবা সবই ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপর এখন দ্রুত পাওয়া যায়।
শিক্ষাক্ষেত্রেঃ-
বর্তমান সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা।গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।
বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেঃ-
ইন্টারনেটের মাধ্যমে গান,সিনেমা,আড্ডা এখন প্রায় সব কিছুই হাতের মুঠোয়।ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার প্রভৃতি সোশ্যাল ব্যবহার করে বিনোদন কে নিয়ে এসেছে হাতের নাগালে। বর্তমান সময়ে মানুষ এখন পৃথিবীকে বলা যেতে পারে হাতের মুঠো নিয়ে চলে এসেছে।
গবেষণার ক্ষেত্রেঃ-
গবেষণার ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের অবদান অপরিসীম।
ইন্টারনেটের কুফলঃ-
ইন্টারনেটের হাজারো উপযোগিতা সত্য তীব্র আলোর পিছনের অন্ধকারে মত ইন্টারনেটের মন্দের দিকটিও অস্বীকার করা যায় না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ভাইরাস আক্রমণ,পর্ণগ্রাফিক চিত্র আদান প্রদান, মানসিক অবসাদ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে।কিছুদিন আগে ‘ব্লু হোয়েল’ নামক ইন্টারনেট অনলাইন ভিত্তিক একটি মরণ খেলা সারাবিশ্বের বহু শিশু কিশোরকে আত্মহত্যায় বাধ্য করে যা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক ছিল।
উপসংহারঃ-
একজন সচেতন দক্ষ ও মানবিক গুণের মানুষই পারে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নততর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে। আগামী পৃথিবীতে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে আমাদের সমাজে ইন্টারনেটের ব্যবহারকে আরো কার্যকর করে অত্যাধুনিক গড়ে তুলতে হবে মানব সভ্যতাকে।তার সঙ্গে আমাদের এটিও দৃঢ়ভাবে নজর দিতে হবে যেন যুবসমাজ বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা যেন ইন্টারনেটের অপব্যবহারে নিজেকে শেষ না করে দেয়।