পদ কয় প্রকার ও কি কি?:
পদ পাঁচ প্রকার
- ১ বিশেষ্য পদ।
- ২ বিশেষণ পদ।
- ৩ সর্বনাম পদ।
- ৪ অব্যয়vপদ।
- ৫ ক্রিয়া পদ।
বাংলা পদ গুলোকে কয়টি গুচ্ছে ভাগ করা যায় ও কি কি ?
বাংলা পদগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- ১. নাম পদ ( বিশেষ্য ও সর্বনাম)
- ২. ক্রিয়া পদ (বিশেষণ ও ক্রিয়া)
- ৩. অব্যয় পদ
1. নাম পদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে পদের দ্বারা কোন ব্যক্তি বস্তু পদার্থ বা স্থান ইত্যাদির নাম বোঝা যায় সেই পদকে বলা হয় নাম পদ।
- উদাহরণ – রাম ,কলকাতা, ফুটবল, ইত্যাদি।
2. সর্বনাম পদের সংজ্ঞা ও উদাহরণ দাও?
নাম পদ এর পরিবর্তে বাক্যে যে পদের ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় সর্বনাম ।
- উদাহরণ – রাম কলেজে পড়ে,তার ভাই পরে স্কুলে।
এই বাক্যে তার শব্দটি রাম কে বোঝায় রাম এর পরিবর্তে ব্যবহৃত এই পদটি সর্বনাম পদ।
3. বিশেষণ পদ কাকে বলে উদাহরণ দাও?
যে পদের দ্বারা অন্য পদের ভালো-মন্দ দোষ গুণ ইত্যাদি বোঝায় সেই পদকে বলা হয় বিশেষণ পদ।
- উদাহরণ – রাম ভালো ছেলে।
এখানে ভালো পদটি রাম বা বিশেষ্য পদের গুণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এটি বিশেষণ পদ।
4. বিশেষ্য পদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও?
যে পদের দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু ,স্থান, ইত্যাদির নাম বোঝায় তাকে বলা হয় বিশেষ্য পদ।
- উদাহরণ – রাম ভালো ছেলে।
এই বাক্যে রাম ব্যক্তির নাম বোঝায়। তাই এটি একটি বিশেষ্য পদ।
5. ক্রিয়াপদ কাকে বলে উদাহরণ দাও?
যে পদের দ্বারা কোন কাজ করা বা হওয়া বোঝায় তাকে বলা হয় ক্রিয়াপদ ।
- উদাহরণ – কলেজ ছুটির পর আমি বাড়ি যাব
এই বাক্যে’ যাব’ শব্দটি কাল বোঝাচ্ছে তাই এটি হলো ক্রিয়াপদ।
ক্রিয়া পদের প্রধান ভাগ কয়টি ও কি কি? সংজ্ঞা ও উদাহরণ দাও।
ক্রিয়া পদের প্রধান ভাগ দুটি ভাগ।
- ১ সমাপিকা ক্রিয়া
- ২ অসমাপিকা ক্রিয়া
সমাপিকা:- যে ক্রিয়াপদ কোন কাজ করা বা হওয়ার সম্পূর্ণতা বোঝায় তাকে বলা হয় সমাপিকা ক্রিয়া।
- উদাহরণ:- বাড়িতে গিয়ে ভাত খাব।
এখানে খাব এই ক্রিয়া পদটি কাজের সম্পূর্ণতা বুঝিয়েছ তাই এটি সমাপিকা ক্রিয়া।
অসমাপিকা ক্রিয়া:- যে ক্রিয়াপদ কোন কাজ শেষ করা বা হওয়া বোঝাই না বরং তা চলছে বোঝায় তাকে বলে অসমাপিকা ক্রিয়া।
- উদাহরণ:- আমি বাড়িতে গিয়ে ভাত খাব।
এই উদাহরণে গিয়ে শব্দটি কাজ বোঝায় কিন্তু সম্পূর্ণ নয় অসম্পূর্ণ। তাই এটি অসমাপিকা ক্রিয়া।
[সমাপিকা ক্রিয়া বাক্য সমাপ্ত করে অসমাপিকা ক্রিয়া দিয়ে বাক্য সমাপ্ত হয় না]
অব্যয় পদ কাকে বলে উদাহরণ দাও?
বাংলা ভাষায় এমন কিছু পদ বাক্যে ব্যবহৃত হয় যাদের লিঙ্গ, বচন, বিভক্তি প্রভৃতির পরিবর্তনে কোন ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না তাদের বলা হয় অব্যয় পদ।
- উদাহরণ:- তোমার সঙ্গে কথায় পারা যাবে না।
এখানে ‘সঙ্গে ‘শব্দটির লিঙ্গ বচন কিংবা বিভক্তি ভেদে কোনো পরিবর্তন হয় না বলে এটি অব্যয় পদ।
- Read More – গাছ আমাদের বন্ধু রচনা (Gach Amader Bondhu Essay)