তোমার জীবনের লক্ষ্য রচনা [Tomar Jiboner Lokkho Essay]

তোমার জীবনের লক্ষ্য রচনা [Tomar Jiboner Lokkho] – প্রিয় বন্ধুরা,আজকের আর্টিকৈলে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবন্ধ রচনা। ‘তোমার জীবনের লক্ষ্য’ এই প্রবন্ধ রচনাটি পরীক্ষায় বার বার এসে থাকে।

তোমার জীবনের লক্ষ্য রচনা [Tomar Jiboner Lokkho]

প্রবন্ধ টি একদম সহজ-সরল ভাষায় লেখা হয়েছে।প্রবন্ধ টি প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত যত্ন নিয়ে তৈরি করে পরীক্ষায় খাতায় ফুটিয়ে তুললেই ফুলমার্কস তোমার জন্যে।। তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক প্রবন্ধ টি।

ভূমিকাঃ-

শৈশবকাল থেকেই মানুষের স্বপ্ন দেখা শুরু এ সময় নানার চিন্তা ও কল্পনায় সময় অতিবাহিত হয়।বড় হয়ে কি হবে আর কি হবে না এসব নিয়েই সচরাচর আমরা চিন্তায় মশগুল হয়ে পড়ি কেমন করে কিভাবে জীবনের পরিপূর্ণতা লাভ হবে তারই চেষ্টায় নিজেকে আমরা তিলে তিলে গড়ে তুলি।একজন সচেতন মানুষের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শৈশব থেকেই লক্ষ্য স্থির করা।

জীবনের লক্ষ্য স্থির করার প্রয়োজনীয়তাঃ-

মানব জীবনকে সার্থক করে গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই নিরন্তর সাধনা করা দরকার। জীবনের লক্ষ্য স্থলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নানা বাধা-বিপত্তি আসবেই কিন্তু এতে পিছপা না হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে। তবেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব।

আমার জীবনের লক্ষ্যঃ-

আমার জীবনের লক্ষ্য আমি একজন সুদক্ষ- সুযোগ্য কৃষক হব।আমার লক্ষ্য জেনে অনেকেই হয়তো আমাকে উপহাস করবে ঠাট্টা করবে আমায় নিয়ে মজা করবে। কিন্তু আমার জীবনের স্থির লক্ষ্য হচ্ছে একজন আদর্শ কৃষক হওয়া। আমার এ লক্ষ্যকে অনেকেই সামান্য মনে করতে পারে কিন্তু আমি তাদের কোন দোষ দেব না কারণ দোষ তাদের নয় দোষ তাদের দৃষ্টির সংকীর্ণতার।

আমাদের দেশে কৃষক বলতে সবাই যা মনে করেন তা হল যার কোন শিক্ষা নেই কোন স্বাস্থ্য নেই কোন থাকা খাওয়ার সংস্থান এমন একজন মানুষ। আমি সেরকম আদিম প্রকৃতির কৃষক হতে চায় না আমি চাই একজন আধুনিক যুগের বিজ্ঞান নির্ভর প্রগতিশীল কৃষক হতে।

লক্ষ্য স্থির করার কারণঃ-

আমার বন্ধু মহলের কেউ হতে চায় ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউ কেউ আবার ম্যাজিস্ট্রেট কেউ বা অর্থনীতিবিদ আবার কেউ বা রাজনীতিবিদ সবাই চাকরিকেই একমাত্র লক্ষ্য রূপে স্থির করে নিয়েছে বর্তমানে বাংলাসহ গোটা দেশে চাকরির জনপ্রিয়তা এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে সারাদেশে লোকসংখ্যার অধিকাংশের জীবিকা আয়োজন করে দেওয়া যে কোন দেশের জন্য বা সরকারের পক্ষে সত্যিই দুঃসাধ্য কাজ।

আমাদের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের কেউ কি মাটির ডাকে সাড়া দেবে না তাই আমি চাই ওই মাটির কোলে ফিরে এসে তাকে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় ভরিয়ে তুলতে যাকে একমাত্র আশ্রয় করে হাজার হাজার মানুষের অন্য সংস্থান হচ্ছে আমি সেই রকমই একটি জীবিকা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

সার্থকতাঃ-

আমাদের দেশের কৃষক সম্প্রদায় ভোঁতা লাঙ্গল আর সেই কঙ্কালসার বলদ নিয়ে মাঠে সচরাচর কৃষিকাজ করে থাকে, নিম্নমানের বীজ ব্যবহার করে তারা আশানুযায়ী ফসল ফলাতে ব্যর্থ হয়।যে কৃষকের উপর দেশের জনগণের খাদ্য যোগানের দায়িত্ব তারা যদি সময় মতো প্রয়োজন অনুসারে সার, বীজ না পায় যদি জমিতে সময়মতো জলসেচ না দিতে পারে তাহলে কিভাবে কৃষির উন্নতি হবে তবুও যদি পরিকল্পনা

মাফিক এই কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো যায় তাহলে অবশ্যই ব্যাপক পরিমাণে সোনার ফসল ফলানোর সম্ভব হবে। আমি আমার জীবনে কৃষিকাজে এই ভাবেই আত্মনিয়োগ করে সাধ্যমত সোনার ফসল ফলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব।

উপসংহারঃ-

কৃষি সাধনায় দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের মূল চাবিকাঠি, কৃষির উন্নতি দেশের সকল উন্নয়নের দ্বার খুলে দেয়। মানুষের মুখে হাসি ফোটায়।আমার বিশ্বাস যদি আমরা কোনরকম ত্রুটি না রেখে চেষ্টা চালিয়ে যায় এবং মনের একাগ্রতা অটুট রেখে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করি তাহলে অবশ্যই সফলতা লাভ করব।তাই আমি আন্তরিকভাবেই আমি আমার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাবো।

Leave a Comment