ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন? তার 5টি কীর্তি মুলোক কাজ।

ননীবালা দেবী ছিলেন বাংলার নারী স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রেরণা। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁর স্মরণীয় হওয়ার কয়েকটি কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:-

ননীবালা দেবী
ননীবালা দেবী

১. নারী জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা

ননীবালা দেবী ছিলেন নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার একজন অগ্রণী নেতা। তিনি ব্রিটিশ শাসনের সময় নারীদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর সাহসিকতা ও নেতৃত্ব নারীদের মনোবল বৃদ্ধি করে।

২. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ

ননীবালা দেবী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং ব্রিটিশবিরোধী কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।

৩. কারাবাস ও ত্যাগ

ব্রিটিশ শাসকরা ননীবালা দেবীর আন্দোলন দেখে ভীত হয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠায়। তিনি নির্যাতন সহ্য করেও স্বাধীনতার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। তাঁর এই ত্যাগ আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

৪. শিক্ষার প্রসারে অবদান

ননীবালা দেবী শিক্ষা প্রসারে কাজ করেন। তিনি নারীশিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজকে সচেতন করেন এবং শিক্ষার মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন করার প্রচেষ্টা চালান।

৫. পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা

ননীবালা দেবীর জীবন ও সংগ্রাম আজও আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত। তিনি প্রমাণ করেছেন, নারীরাও সমাজ পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।

উপসংহার

ননীবালা দেবী শুধুমাত্র একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক আদর্শ নেত্রী। তাঁর সাহসিকতা, ত্যাগ এবং দেশপ্রেম তাঁকে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং নিজের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়ার প্রেরণা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top