রচনা এমন একটি অধ্যায় যেটা পূরণ করে ছাত্র ছাত্রী রা অনেক নম্বর পেয়ে থাকে। প্রতি বচ্ছর নতুন নতুন রচনার প্রশ্ন আসে। তাই এই বছর যদি একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা-টি [Ekti Sikkhamulok Vromoner Aviggata Rachana] খুবই গুরুত্ব পূর্ণ হয়, তাহলে আমাদের লেখা এই প্রবন্ধ টি পড়তে পারো, যেটা আমরা সহজ সরল ভাজি লিখেছি । ক্লাস ৫ স্টুডেন্ট থেকে ক্লাস ১২ স্টুডেন্ট সকলেই পরে মুখস্থ করতে পারো, আর একটা ভালো নম্বর তুলে নিতে পারো।
এই রচনাটি পেরে পর যদি ভালো লাগে র তুমি আরো অন্য রচনা চাও যেটা পাচ্ছনা তাহলে আমাদের কমেন্ট করতে পারো আমি তোমাদের জন্য তোমার প্রয়োজনীয় রচনাটি লাইক প্রস্তুত করবো আর আমাদের এই ব্লগ এ শেয়ার করবো।
একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা।
ভূমিকাঃ-
ভ্রমণের নেশা মানুষের চিরন্তন। শানু হয়ে বসে থাকতে কারোর ভালো লাগেনা। শৈশব থেকেই মানুষের মন কল্পনায় ভর করে চলে যায় বহু দূরে। শৈশবের স্বপ্ন বড় হবার সাথে সাথে করে তুলতে চাই। আর এই ভাবেই শুরু হয় ভ্রমণের পালা। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় শিক্ষামূলক ভ্রমণ। বাবা মার মতো আমিও ভ্রমন পিপাসু ভ্রমণ নেশা আমাকে একান্ত আকৃষ্ট করে। তাই সেই বার বিদ্যালয় থেকে সুন্দর বনে শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম।
সুন্দরবন যাত্রাঃ-
বিদ্যালয় আয়োজিত সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এখনো পর্যন্ত আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে আছে।সুন্দরবন ভ্রমণের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আমাদের বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষক। লঞ্চে দু রাত্রি তিন দিন কাটাতে হবে সুন্দরবনের নদী, নালার মধ্যে, জঙ্গলের ধারে ধারে ভেসে যাব সমুদ্রের কাছে, বাংলাদেশ সীমান্তে। পথে পড়বে সিংহ, বাঘ, আস্তানা ভয়ংকর কুমিরের দেখা।এই ভাবে তিন দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা খুবই রোমাঞ্চকর হবে তাতে সন্দেহ নেই।
যাত্রা শুরুঃ-
শীতের সময় গরম জামা কাপড়ে শরীর মুড়ে বেশ সকালেই একটি ভ্রমণ সংস্থার বাস ধরে যাত্রা শুরু করলাম সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। ঘন্টা দুয়েক পর পৌঁছালাম সুন্দরবন। ঢোকার মুখে একটি বড় গঞ্জ। বাসন্তীতে অসংখ্য জেলে,আছে নৌকা ও লঞ্চের ভিড়, বাতাসে একটা নোনা গন্ধ, এরই মধ্যে আমরা লঞ্চে উঠে পড়লাম।
সমুদ্রের বুক চিরে এগিয়ে চলল আমাদের লঞ্চ। আগামী তিনদিন ছাত্র, শিক্ষক সবাই প্রাণ ভরে সুন্দরবনকে দেখব ও চিনবো। সন্ধ্যেবেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হলো, গান হল, কবিতা পাঠ হল।
সুন্দরবনের সৌন্দর্যঃ-
লঞ্চ চলেছে, মাতলা নদী পার হয়ে নেতা ভবানী ঘাটে দিকে। আমাদের সঙ্গে লঞ্চে একজন গাইড ছিলেন। তিনি লাউড স্পিকারে বিভিন্ন জায়গাগুলির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। শুনলাম এই জায়গার অনেক মানুষ কাঠ ও মধু আনতে গিয়ে বাঘের পেটে গিয়েছে।শুনে গা ছমছম করে উঠলো। এখানকার নদীতে কেউ নামেনা কারণ সেখানে ভয়ঙ্কর কুমিরের বাঁশ।
দেখলাম পারে অসংখ্য কুমির রৌদ্র পোহাচ্ছে। সুন্দরবনের গরান, সুন্দরী গাছ দেখতে দেখতে সব কিছু ভুলে গিয়েছিলাম। সুন্দরবনের রহস্যময় গভীর জঙ্গলে মন হারিয়ে গিয়েছিল।
তীরের কাছে লঞ্চ থামলে অজস্র পাখির কলকা কানে আসছিলো। এখানে একটা পাখিরালয় আছে। ঠিক হলো পরদিন সেখানে যাওয়া হবে। দেখা হবে বাঘের যাতায়াতের পথ। রাত্রিটা বেশ অনুষ্ঠান, আনন্দ করে মাঝ নদীতে কাটানো হলো।
পরের দিন নরম মাটিতে অসংখ্য পায়ের ছাপ দেখলাম। পরিচয় হলো অনেক নিত্য নতুন পাখির সাথে। অনেক হরিণ বন্য শুয়োর দেখলাম। তারপর দিন গোসাবা সাত পেরিয়ে সুধন্যপুর হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে গেলাম এবার এলো ফেরার পালা।
উপসংহারঃ-
এ শিক্ষামূলক ভ্রমণ আমার জীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা সুন্দরবনের রহস্য রোমাঞ্চ সহপাঠীদের উষ্ণতা নষ্টের মশাইদের শাসন স্নেহ সংঘ লঞ্চের গাইড ও বনলক্ষী নামক লঞ্চটি মনে বিশেষ স্থান করে নিল অপেক্ষায় রইলাম এরকম আরও একটি ভ্রমণের যার স্মৃতির পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।