একটি ছুটির দিন রচনা । Ekti Chutir Din Essay

একটি ছুটির দিন রচনা । Ekti Chutir Din Essay

একটি ছুটির দিন রচনা । Ekti Chutir Din Essay

ভূমিকাঃ-

নিত্য নৈমিত্তিক একঘেয়ে জীবনের মাঝে একটি ছুটির দিন মানে মন খোলা আনন্দের দিন, বিনোদনের দিন,কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ক্লান্তি মেটানোর দিন, ছুটির দিন মানেই অপার মুক্তির আনন্দ তাই সারা সপ্তাহের ক্লান্তি ভাব নিঃশেষে হালকা করে নেবার জন্য ছুটির প্রয়োজন একান্ত। তবুও ছুটির একটা অন্য মজা আছে অবশ্য সেই ছুটি যদি হয় একটি অতিরিক্ত সংযোজন। হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিতভাবেই যদি ছুটিটা মেলে তাহলে আর আনন্দের সীমা থাকে না অর্থাৎ ষোলো আনায় আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ছুটির দিন অতিবাহিত করার পরিকল্পনাঃ-

বাঁধা ধরা ছুটির মাঝে যখন অপ্রত্যাশিত একটি ছুটি মেলে তখন সেই ছুটি কিভাবে উপভোগ করা যায় তারই একটি পূর্ণ পরিকল্পনা শুরু করা হলো ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মহাশয়কে নিয়ে। সকলের সাথে কথা বলে স্থির হল যে আজকে এই ছুটির দিনটি আমরা একটি ঐতিহাসিক জায়গা যেটি হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে অবস্থিত সেখানে গিয়ে আমরা ছুটি টি পূর্ণাঙ্গ উপভোগ করব।

তড়িঘড়ি শিক্ষক মহাশয় সহ আমরা কয়েকজন বন্ধু একটি স্করপিও করে ব্যান্ডেল চার্চ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম যথা শীঘ্রই আমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছলাম। গন্তব্যস্থলে পৌঁছে শিক্ষক মহাশয় আমাদের সাথে নিয়ে চার্চে প্রবেশ করলেন এবং বলতে শুরু করলেন এই ঐতিহাসিক জায়গার ঐতিহাসিক ঘটনা।

তিনি আমাদের জানালেন ব্যান্ডেল গির্জা বা ব্যান্ডেল চার্চ পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম খ্রিস্টান গির্জাগুলির মধ্যে একটি অন্যতম।এই গির্জার পোশাকি নাম ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলিরোসারী।

১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে এই গির্জাটি মেরিমাতার প্রতি উৎসর্গিত। তিনি আরো বললেন ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে পর্তুগিজরা ব্যান্ডেল শহরটিকে বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে তারা মুঘল সম্রাট আকবরের কাছ থেকে হুগলিতে এই শহরটি নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ অনুমতি পেলেন।এখানে বসবাস শুরু করলেন তাদের পাদ্রীরা স্থানীয় লোকেদের ধর্মান্তরিত করলেন।১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার। এদের মধ্যে স্থানীয় অধিবাসীরাও ছিল।

১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজরা হুগলি নদীর তীরে একটি বন্দর ও দুর্গ নির্মাণ করেন এবং অগাস্টিনিয়ান ফ্লেয়ারদের একটি দলের সার্ভিস তালিকাভুক্ত করে।এই দলটি ছিল গোয়ার বৃহত্তম একটি ধর্মীয় সংস্থা।

পরের বছর ক্যাপ্টেন পেদ্রো তাভারেস সর্বসমক্ষে ক্যাথলিক ধর্ম প্রচার ও গির্জা নির্মাণ করার জন্য সম্রাটের অনুমতি লাভ করলেন এরপর ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ব্যান্ডেল চার্চ নির্মিত হল।১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মুরেরা হুগলি আক্রমণ করলে প্রথমেই তারা গির্জাটি ভেঙ্গে দেয়। এরপর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে গোমেজ দ্য সোতো এটি পুনঃনির্মাণ করলেন।এইভাবে শিক্ষক মহাশয়ের সাথে আমরা সম্পূর্ণ ব্যাণ্ডেল চার্চ টি ঘুরে ঘুরে উপভোগ করলাম।

ভুরিভোজঃ-

গির্জায় বেড়ানোর ফাঁকে আমাদের শিক্ষক মহাশয় সকলকে কাছাকাছি একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন সেখানে গিয়ে আমরা মাংসের কাবাব, বিরিয়ানি, ফিরনি,পোলাও সহ আরো অন্যান্য খাবার কব্জি ডুবিয়ে খেলাম।

গুরুত্বঃ-

ছুটির দিন মানেই অফুরন্ত আনন্দের দিন।ছুটির দিন মানেই সবার সাথে জমিয়ে মস্তি করার দিন।ছুটির দিন মানেই প্রিয় শখ পূরণের দিন।ঠিক এইভাবেই রঙিন হয়ে ওঠে ছুটির দিন গুলো।।

উপসংহারঃ-

একটি ছুটির দিন আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।ব্যস্ত জীবনের একঘেয়ে জীবনচর্চায় আমরা নিজেদের সাথে তথা নিজের পরিবারের সাথে বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানোর কোন সুযোগই পায় না।জীবনে ছুটির দিনগুলি আমাদের এই সুযোগগুলো এনে দেয়। হয়তো ঠিক এই কারণেই এমনই একটি করে ছুটির দিন সকলেরই প্রত্যাশায় থাকে। ছুটির দিনে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের স্মৃতিতে চিরকাল অক্ষত থাকে।

2 thoughts on “একটি ছুটির দিন রচনা । Ekti Chutir Din Essay”

  1. খুব ভালো আমি ক্লাস ৫ এ পরি এইটি লিখে আমি আমার স্কুলের লেখা compitition এ A+ পেয়েছি |

    Reply

Leave a Comment